বিটকয়েনের গল্প


বিটকয়েন হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল কয়েন যা দিয়ে real world currency এবং পণ্য কেনা যায়। যারা বিটকয়েনের শুরুর দিকে ছিলো তারা সবাই এখন কমবেশি মিলিওনিয়ার এবং বর্তমানে প্রতি বিটকয়েনের দাম ৬০০০+ ডলার। বর্তমানে প্রায় ৩০-৬০ লাখ লোক বিটকয়েন ইউজ করে৷
শুরুতে এর মন্দের ভাগ বলে নিই। ২০১১-১২ এর দিকে ব্ল্যাকমার্কেটে এবং অনেক illegal transaction এ বিটকয়েন ব্যাবহৃত হয়। এই সিস্টেম অনেক electricity খায়, এর price volatility উড়াধুড়া, বেশ কিছু দেশে বিটকয়েন illegal এবং সম্ভবত এটা একটা economical bubble. কারেন্সির যেখানে ধর্ম হলো ছড়িয়ে যাওয়া বিস্তার করা, বিটকয়েনের প্রবণতা হলো preserved থাকা।
গল্পে ফিরে আসি। ২০০৮-০৯ সালে sathoshi ছদ্মনামে অজানা ব্যাক্তি/ গ্রুপ বিটকয়েন শুরু করে। শুরুর দিকে বিটকয়েন খুবই সস্তা ছিল। বিটকয়েন দিয়ে প্রথম বাস্তব জগতের কোন পণ্য কেনা হয় ২০১০ সালে, এক প্রোগ্রামার ভদ্রলোক ১০ হাজার বিটকয়েন দিয়ে ২ টা পিজা কেনেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বিটকয়েনের দাম তার শিখরে পৌছায় (১৯৬৬৬ ডলার = ১ বিটকয়েন) এবং বর্তমান দাম ৬০০০+ এর মতো।
mining নামে একটা কাজ করলে বিটকয়েন পাওয়া যায়। আমাদের যে কেউ mining করতে পারে যার ডেস্কটপ/ ল্যাপটপ আছে। mining হয় CPU বা GPU এর প্রসেসিং পাওয়ারের সাহায্যে। mining এর software নামিয়ে পিসিকে/ ল্যাপটপকে কাজে লাগিয়ে খোলা রেখে দিলেই bitcoin পয়দা হতে থাকে। এই বছরের শুরুতে মাইনিং করা সহজ ছিলো, মানুষ এত মাইনিং শুরু করে যে GPU এর দাম ডাবল হয়ে যায়🤣🤣। মাইনিং খুবই প্যারাদায়ক এবং ভর্তি পরীক্ষা থেকেও বেশি competitive. কিন্তু এখন এটা এত পপুলার হয়ে গেছে যে দেখা যায় একটা ভালো জিপিউ দিনে ০.০০০3-5 বিটকয়েন পয়দা হয় , very very slow. এরকমই হয়, শুরুতে বিটকয়েন কেউ চিনতো না, তখন অনেক সস্তায় বিটকয়েন পাওয়া যেত, আর এখন একটা বিটকয়েন দিয়ে একটা গাড়ি কেনা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো মাইনিং করলে আমরা কেন বিটকয়েন পাই? মাইনিং করি কার জন্য আর বিটকয়েন কোথা থেকে পাই?
মাইনিং হলো বিটকয়েনের রেকর্ড কিপিং সার্ভিস।মাইনারদের সিপিউ/জিপিউ সামগ্রিক বিটকয়েন ট্রানজেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রসেসিং ক্ষমতায় নিয়োজিত থাকে। ২১ মিলিয়নের বেশি বিটকয়েন পৃথিবীতে উৎপন্ন করা হবে না ( বিটকয়েনের উচ্চমূল্য ধরে রাখার জন্য) এবং বর্তমানে ১৭ মিলিয়ন সার্কুলেটেড করা হয়েছে এবং বাকিগুলো আস্তে আস্তে সার্কুলেটেড করা হচ্ছে ( আস্তে আস্তে করার কারণ বিটকয়েনের উচ্চমূল্য ধরে রাখা)।
মাইনিং এর কাজ হলো কোন বিটকয়েন ডাবল ট্রানজেকশন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা। মাইনিং করা হয় ব্লক ব্লক করে। শুরুতে যেখানে এক ব্লক কমপ্লিট করলে ৫০ বিটকয়েন পাওয়া যেত, এখন ১২.৫ বিটকয়েন পাওয়া যায় এবং সামনে আরো কমবে। কেন? কারণ ২১ মিলিয়ন বিটকয়েনের লিমিট দরজায় কড়া নাড়ছে। Summary is, মাইনিং এর মাধ্যমে মাইনার বিটকয়েন সার্কুলেশনে অবদান রাখে, বিনিময়ে বিটকয়েন পায়।
শেষ প্রশ্নঃ বিটকয়েন ছিলো একটা ভার্চুয়াল কারেন্সি, এটার সাথে GTA Vicecity এর কারেন্সির তো কোন পার্থক্য ছিলো না। তো এটা কিভাবে বাস্তব কারেন্সিতে কনভার্ট করা গেল/ কিভাবে এটা দিয়ে বাস্তব জীবনের পণ্য কেনা যায়?
বাস্তব কারেন্সির যে সকল গুণ থাকা উচিত ( durability, portability, fungibility, scarcity, divisibility, and recognizability) তার সবই বিটকয়েনের আছে। And they also gained trust of central authorities. Summary is, এর পিছে mathematics কাজ করে। এইসব গুণাবলীর জন্য users, merchants আর start up এ আগ্রহীরা বিটকয়েনে আগ্রহ দেখায়। পুরো বিষয়টা আসলে trust এরও। প্রেম ভালোবাসার ট্রাস্ট না, ম্যাথমেটিকাল পসিবিলিটির ট্রাস্ট।
বর্তমানে বিটকয়েনের দাম উঠানামা করে supply and demand থিওরিতে। আগেই বলেছি, বিটকয়েন পৃথিবীতে লিমিটেড, আর নতুন বিটকয়েন produced হচ্ছে predictable, slow, decreasing rate এ। তাই বিটকয়েনের মূল্য stable, এর বাজার অনেক ছোট এবং volatile.
তো এখন কি বিটকয়েনে ইনভেস্ট করা উচিত? well, যারা এইসব ভ্যাদর ভ্যাদর ১০ বছর আগে বুঝেছে, তারা এখন মিলিয়নিয়ার, আর এখন আপনি ইনভেস্ট করলে কামলা খাটা লাগবে, আহামরি কিছু না। আর এগুলো সব সার্ফেস লেভেলের কথাবার্তা, নিচে এক মহাসমুদ্র ডিটেলস রয়েছে।
source:
Wikipedia
Investopedia
Quora

Popular Posts