D A R K _ S 0 3 : F I R S T _ I M P R E S S I O N
হেভি স্পয়লার আছে সামনে। উল্টাপাল্টা কিছু পড়ে ফেললে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। ক্যাজুয়ালি লেখা, গুরুগম্ভীর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা খুজতে গিয়ে হতাশ হবেন না।
প্রথমেই দেখা যায়, small, medium, large size
এর তিনটা ঠোঁটকাটা মাল আইসা একটা বাড়ি জ্বালায়ে দেয়। যদিও এদের পরিচয় বুঝা যাচ্ছে না। আগের জগতের মার্থা গুলি খায়া শুয়ে থাকে, ২ নাম্বার মার্থা আইসা জোনাসকে ধইরা নতুন জগতে নিয়া যায়। এই নতুন জগতের মার্থা আবার জোনাসকে চেনে না, সো ধইরা নিলাম এইটা ৩ নাম্বার মার্থা।
নতুন জগতটা পুরাই হাবাজাবা। এইখানে মার্থার কিলিয়ান নামে একটা বফ আছে যারে আগের জগতে গুণিই নাই। এলিজাবেথ এর বদলে ফ্রান্সিস্কা এখানে বোবা। রেজিনা মারা গেছে, বারটোয টিচার, জোনাসকে কেউ চেনে না ইত্যাদি। যাই হোক, মানায়ে নিলাম, নতুন জগতে এইসব হইতেই পারে।
কিন্তু যেইটা কোনভাবেই মানতে পারলাম না, উলরিখ ক্যারেক্টারটা পুরান জগতের উলরিখ থেকেও ঘাউসা। ভদ্রলোক নিজের বউ ক্যাথারিনাকে ডিচ করে হানাহ এর সাথে প্রেম করে। তাও ভালো ছিলো, এর ভিতর দিয়া আবার সে শার্লটের সাথেও প্রেম শুরু করে দেয়৷ পরকীয়া বিষয়টাকে শিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছে সে, পরকিয়ার রিকার্সন ফাংশন কল চলতেছে।
আর বুড়া হেলগা ডপলার ক্যারেক্টারটা বাতিল মাল, বিড়বিড় করে "It will happen
again" আর "tick tock tick
tock" বলা ছাড়া এর কোন কাম দেখি না। যারা টিকটক ভিডিও বানায় তারাও এমনে টিকটক টিকটক করে না।
মার্থা কয়টা এইটা নিয়ে কিঞ্চিত দুঃশ্চিন্তিত ছিলাম। এদিকে আরেকটা বুইড়া মার্থা পয়দা হইছে, এটা চার নাম্বার নাকি অন্য কোন মার্থার বুইড়া ভার্সন সিওর ছিলাম না। ওইদিকে দেখি ২ নাম্বার মার্থা আবার আগের জগতে চ্যালচ্যালায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। জোনাস আর ২ নাম্বার জগতের মার্থার জগত swap করার কি দরকার ছিলো idk. ঘটনা সুবিধার লাগে নাই।
এপিসোড ৪:
উলরিখ যদি ঘাউসা হয়, হানাহ ডাবল ঘাউসা। উলরিখের সাথে পরকীয়া করেই তার পোষায় নাই, টাইম ট্রাভেল করে ইগনের সাথে তার পরকীয়া করা লাগছে।
এপিসোড ৫:
এই এপিসোডটা ভালোই ঘটনাবহুল। পিটারের মৃত্যু এবং নিজের মায়ের হাতে ক্যাথারিনার (বুইড়া ভার্সন) মৃত্যু দেখে যারপরনাই ব্যথিত হইছি৷ ক্যাথারিনার জন্য উলরিখের ওয়েট করতে দেখাটাও কষ্টের। ৪ টা বয়সের ইভা যখন জোনাসকে ফেস করে জোনাসের চার বিয়ার শখ থাকলেও মিটে যাওয়ার কথা।
এপিসোড ৬:
জোনাস আর ইভা দুইজনই তাদের নিজেদের বুড়া ভার্সনকে (এডাম আর বুড়া ইভা আরকি) অপছন্দ করে, disgusted. আসলে জীবনে আমরা সেটাই হয়ে উঠি যেটা আমরা ঘৃণা করি।
প্রথম জগতের নোয়াহ, মিডল এজ ক্লডিয়া, বারটোয, বুড়া ইগনকে ধইরা সাদা চুলের বুড়া ইভা যে প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে পাঠায়া দিছে, এইডা আরো ছ্যাড়াব্যাড়া করে দিলো কাহিনি।
এপিসোড ৭:
প্যারালাল ডাইমেনশন, টাইম ট্রাভেল ঢুকায়েই সিরিজের রাইটার শান্ত হয় নাই। আরো কমপ্লেক্স করার জন্য শ্রোডিঞ্জারের ক্যাট থিওরি ম্যাক্রো জগতে এপ্লাই করছে - সো apocalypse এর পর থেকে চেইন অফ ইভেন্টস দুইটা, এবং মার্থা ভাগ হয়ে দুইটা
কপি তৈরী হয়, মার্থা ১ আর মার্থা ২, জোনাসও ভাগ হয়ে দুই ভাগ হয়। জোনাস ১ আর জোনাস ২।
প্রথম চেইন অফ ইভেন্টে মার্থা ১ জোনাস ১
কে বাঁচিয়ে প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যায়, কিন্তু জোনাস ১ প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে মার্থা
২ এর কাছে খুন হয়। জোনাস ২ এডাম হয়ে উঠে। মার্থা ১ প্রথম ওয়ার্ল্ডে এডামের(ম্যাচিওরড
জোনাস ২) কাছে খুন হয়। মার্থা ২ ইভ হয়ে উঠে।
দ্বিতীয় চেইন অফ ইভেন্টে জোনাস ২ নিজেকে
নিজেই বাঁচায়। জোনাস ২ এডাম হয়ে উঠে। মার্থা ২ ইভ হয়ে উঠে। এইটা বুঝতে যথেষ্ঠ কষ্ট
হইছে :’’’’’) ইভেন্ট ১ আর ইভেন্ট ২ এরপর আবার মার্জ করে।
জোনাস ক্লডিয়া কখন মিট করে এপিসোড ৬ এ বুঝি নাই, এপিসোড ৭ এ এসে বুঝলাম ২০২৩ সালে। স্বাভাবিক টাইমলাইনের বাইরে (১৮৮৮, ১৯২১, ১৯৫৩, ১৯৮৬, ২০১৯, ২০৫২) আরো বিভিন্ন সাল দেখাইছে (১৯৭৪, ২০২১, ১৮৯০, ২০২৩ ইত্যাদি) যেটা কাহিনিটাকে আরো ব্যাড়াছ্যাড়া করে দিছে। কিন্তু যত্ন সহকারে প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের টাইমলাইন এড়ায়ে গেছে, হাজার হোক জার্মান ট্রাজেডি।
এইখানে ৫ টা শকিং টুইস্ট আছে। ক্লডিয়া প্যারালেল জগতের ক্লডিয়াকে খুন করে, ২০৪১ সালে নোয়াহ আর এলিজাবেথ চার্লটের জন্ম দেয়, সিলজা আসলে জোনাসের বোন, এডাম তার মাকে খুন করে, নোয়াহ আর এগনেসের বাপ আসলে বারটোয আর সিলজা।
ফোর্থ জেনারেশনের বারটোয আর সিলজা হয়ে গেছে ফার্স্ট জেনারেশনের নোয়াহ এগনেসের প্যারেন্টস। সিলজা পয়দা হইছে কারণ হানাহ টাইম ট্রাভেল করে ফার্স্ট জেনারেশন ইগনের সাথে পরকীয়া করে আসছে। এই পরকীয়াগুলা না করলেও সিরিজটা আরেকটু সহজ হইতো। তাছাড়া এলিজাবেথ নিজেই নিজের নানী আর মিক্কেল তার জাস্ট দুলাভাই এর বাপ তো আছেই।
এপিসোড ৮:
পুরা সিরিজটা হয়ে গেছে ত্রিপাক্ষিক দাবা খেলা। এডাম চায় এপোক্যালিপ্স হোক, ইভা চায় না হোক। চিপা দিয়া ক্লডিয়া কিছু গুটিবাজি করে মাইয়া রেজিনার জন্য।
ট্যানহাউজ সব ঝামেলার মূল। এই ব্যাটা নিজের বউ বাচ্চা ফেরত পাওয়ার জন্য টাইম ট্রাভেলের চেষ্টা না করলে origin world ধ্বংস হইতো না আর দুইটা ডাইমেনশনও তৈরী হতো না।
বারটোয এর কাছ থেকে ইভাকে যখন ম্যাগনাস আর ফ্রান্সিসকা নিয়ে যাচ্ছিলো, সাইকেল ব্রেক করার জন্য জোনাস ইভাকে ছিনায়ে নিয়ে যায়। আমি ভাবছিলাম যে ছিনায়ে প্রথম জগতে নিয়ে যায় প্যারালেল জগত থেকে, কিন্তু পরে খেয়াল করে দেখি আসলে অরিজিনাল ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যায়। এইটার একটু হিন্টস দিলে ভালো হতো।
ঠোঁটকাটা মাল তিনটা ইভার পোলা বুঝলাম, বয়সে ৩৩ বছরের গ্যাপ। কিন্তু এদের কাজকাম পুরাই আজাইরা ছিলো, কিছু খুনাখুনি করা, দুই জগতেরই নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট স্যাবোটাজ করা, মেইনলি বুড়া ইভার কামলা দেওয়া ছাড়া এদের কোন কাম দেখলাম না। আর ট্রন্টের বাপ ইভার পোলা, এইটাও একটা আজব টুইস্ট।
পুরা সিরিজে কোন ফ্যামিলিতেই শান্তি নাই। ফার্স্ট জেনারেশনে ইগন-ডোরিস ফ্যামিলিতে পরকীয়া নিয়ে অশান্তি। এগনেসের ডরিসের সাথে লেসবো পরকীয়া, সেকেন্ড জেনারেশনে ট্রন্টের সাথে ক্লডিয়ার এফেয়ার, থার্ড জেনারেশনে পিটারের ট্রান্সজেন্ডার প্রস্টিটিউটের কাছে যাওয়া, উলরিখ আর হানাহর ফ্যামিলির কথা আর নাই বললাম, রেজিনার ক্যান্সার। কোন ক্যারেক্টারই পার্সোনাল লাইফে হ্যাপি না৷
Favorite quote:
1. A human lives three lifes. The first ends with the loss of naivety, the second with the loss of innocence and the third with the loss of life itself.
2. Hell is empty because all the evils are on earth.
Hidden
Twist: Claudia
আর Bernd Doppler এর মাঝে এফেয়ার ছিলো, হেলগা আর রেজিনা সৎ ভাই বোন, তবে এটা আমি নিজে বের করতে পারি নাই। (হিন্টঃ লাস্টের ৫ মিনিটের দিকে অরিজিনাল ওয়ার্ল্ডে ফ্যামিলি ফটো)