Cryptocurrency FAQ: Why It Even Exists?

 


অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বিজনেস করে কিন্তু কিছু বেসিক প্রশ্নের এন্সার জানে না। এতে দোষের কিছু নেই, বিজনেস করতে বা ট্রেড করতে এগুলা জানা লাগে না, কিন্তু এই জিনিসগুলো ক্লিয়ার থাকা উচিত, তাহলে চিন্তা ভাবনাগুলো স্বচ্ছ হয়৷


প্রথম প্রশ্ন, যে কোম্পানির শেয়ার কিনতে পাওয়া যায় তার একটা অথোরিটি থাকে। যেমন ধরা যাক savlon এর শেয়ার কিনতে পাওয়া যায়, এই স্যাভলন কোম্পানি বোর্ড অফ ডিরেক্টরস, CEO দ্বারা পরিচালিত হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে এই অথোরিটি কে?

Answer: বিটকয়েনের কথা ধরা যাক। বিটকয়েন আসলে decentralized peer to peer payment network, কোন সুনির্দিষ্ট অথোরিটি নেই, অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট অথোরিটি এটার পরিচালনা, তদারকি করে না।


তাহলে এখন প্রশ্ন হলো, বিটকয়েনের যদি অথোরিটি না থাকে, transaction, circulation ইত্যাদির দায়িত্বে কে আছে? এটার যদি অথোরিটি না থাকে তাহলে কেন এটা কাজ করবে? প্রতিটি Fiat currency এর দায়িত্ব সরকার নেয়। এই ক্ষেত্রে দায়িত্ব কে নেয়? এটার পিছে যদি স্ট্রং পৃষ্ঠপোষকতা না থাকে তাহলে মানুষ কেন বিটকয়েন আমার কাছ থেকে কিনবে?

ধরা যাক একটা কোম্পানি ৩০ হাজার শেয়ার বিক্রি করলো পাবলিকের কাছে৷ এরপর কোম্পানি বন্ধ করে দিলো/পালায়ে গেলো। তাহলে পাবলিকের পুরা ইনভেস্টমেন্টটাই বিফলে গেলো। এই সমস্যার সমাধান হলো পাবলিকের কাছে কোম্পানির দায়বদ্ধতা থাকে, কোম্পানি বন্ধ করে দিলেও তার সম্পদ/স্থাপনা বেচে হলেও পাবলিক টাকা ফেরত পাবে। আদর্শ বিচার ব্যাবস্থায় দেশের আদালত ওই কোম্পানির কাছ থেকে পাবলিকের টাকা আদায় করে দিবে দরকার হলে। এই সিকিউরিটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কোথায়, ক্রিপ্টো কারেন্সির তো অথোরিটিই নেই।

Answer: এটা খুবই ভালো একটা প্রশ্ন। আসলেই অথোরিটি ছাড়া একটা কয়েন/শেয়ারকে বিশ্বাস করার জায়গাটা থাকে না। তাও সেই অথোরিটির রেপুটেশন থাকতে হবে, শক্তিশালী হতে হবে, নাহলে বিশ্বাসের সুযোগ নাই। কিন্তু এই প্রব্লেমটাই সলভ করেছে blockchain technology  যেটা ২০০৮ সালে আবিষ্কৃত হয়। এইজন্য মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের পর পৃথিবীতে যেমন কম্পিউটার বিপ্লব হয়ে গেছে, ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর পৃথিবীতে বিপ্লব হয়ে গেছে, ব্লকচেইন হলো চলমান বিপ্লব।

যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাই৷ তো সেন্ট্রাল অথোরিটি ছাড়া কিভাবে কাজ করতেছে বিটকয়েন। সেন্ট্রাল অথোরিটি বা সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই মানে এই না যে এর ব্যাক এন্ড ফাকা। এটা peer-to-peer software এবং cryptography এর নির্ভর করে ডিজাইন করা।

আগে একটু জানতে হবে বিটকয়েন নোড কি জিনিস। একটা নোড হলো একটা কম্পিউটার যা বিটকয়েনের peer to peer network গঠনে অংশ নেয় এবং এই নেটওয়ার্ক আনুমানিক লাখ ৮০ হাজার এর বেশি কম্পিউটার নিয়ে গঠিত (Source: Quora) এবং এই নেটওয়ার্ক আরো দিন দিন বড় হচ্ছে। এই কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন মাইনিং ফার্ম অথবা ব্যাক্তি মালিকানাধীন। যে কারো কম্পিউটার থাকলেই এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে। কাজেই পুরো নেটওয়ার্কটা জনগণের, এই নেটওয়ার্ক কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

Ensure করুন এই term গুলো বুঝেছেন কিনা: Network, Node.

বিটকয়েনের প্রতিটা transaction নেটওয়ার্কে পাবলিকলি সম্প্রচার করা হয় এবং প্রতিটা নোডে শেয়ার করা হয়। এই তথ্যগুলো ব্লকে ব্লকে সংরক্ষণ করা হয় এবং এভাবে একটা ব্লকের চেইন বা ব্লকচেইন তৈরী হয়ে যায়। এভাবে সকল transaction রেকর্ড হয় এবং এই রেকর্ডের কপি পৃথিবীর সকল নোডে আপডেট হয়। কাজেই একটা নোড বা একাধিক নোড ধ্বংস হয়ে গেলেও কেউ এই রেকর্ড নষ্ট করতে পারবে না, এজন্য এটা unhackable. এভাবেই রেকর্ড থাকে কার কাছে কত বিটকয়েন আছে এই মুহূর্তে, কত বিটকয়েন লেনদেন হয়েছে ইত্যাদি৷

নেটওয়ার্কের প্রত্যেকটা কম্পিউটার transaction verification অংশ নেয়, কাজেই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা %, লাখ লাখ কম্পিউটার ভুল করতে পারে না। একটা transaction ভুল হওয়া লাগলে ৫১% কম্পিউটারকে ভুল করতে হবে, যেটা অসম্ভব। আর কম্পিউটারগুলা পাবলিক কম্পিউটার, বিভিন্ন মানুষের মালিকানাধীন, কোন একটা নির্দিষ্ট কোম্পানির না যে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়তে পারবে। এটা কখনোই সম্ভব না যে জনগণের লাখ লাখ কম্পিউটার সব এক সাথে নষ্ট হয়ে যাবে/ বন্ধ হয়ে যাবে/হ্যাকড হয়ে যাবে।

এই জিনিসটা বরং ব্যাংক থেকেও ভালো, পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের লাখ লাখ কম্পিউটার ভেরিফাই করতেছে যে আমার একাউন্টে কত বিটকয়েন আছে বা কত কয়েন লেনদেন করেছি।

আমরা যেমন টাকা মানিব্যাগে রাখি, একইভাবে বিটকয়েন digital wallet রাখা যায়। বাস্তব জগতে হয়তো বিটকয়েন বা digital wallet exist করে না, বাস্তবে যেটা হয়, ব্যাবহারকারী একটা প্রাইভেট কি (পাসওয়ার্ড এর মত) দিয়ে নেটওয়ার্কের কাছে প্রমাণ করে এই ডিজিটাল ওয়ালেটের বা মানিব্যাগের মালিক সে, এরপর সে ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে বিটকয়েন দিয়ে (মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করার সমতুল্য) কেনাকাটা করে।

তবে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, পাবলিক কেন তাদের কম্পিউটার এই নেটওয়ার্কে এড করবে, টাকা খরচ করে, কারেন্ট খরচ করে এই নেটওয়ার্কে তাদের কম্পিউটার এড করে লাভ কি। কারণ তাদের কম্পিউটার যদি নেটওয়ার্কে add হয়ে transaction গুলো verify করে, তাহলে তারা কিছু পরিমাণ বিটকয়েন reward পায়। এই প্রসেসটাকে বলে mining আর এই উপার্জনটাকে বলে mining reward. এর উপর ভিত্তি করে অনেক মাইনিং কোম্পানি এবং ফার্মও গড়ে উঠেছে যারা এভাবে উপার্জন করে। ওদের এই উপার্জনটা আসে transaction fee থেকে, যেমন binance প্রতিটা transaction .% ফি কেটে নেওয়া হয়, যদিও সেটা যে কোন প্রচলিত ব্যাংক থেকে অনেক কম।


কাজেই আগে যে প্রশ্নগুলো ছিলো সেটা তো সলভ হলোই (অথোরিটি পালায়ে গেলে কি হবে, অথোরিটি ছাড়া কিভাবে কাজ করতেছে, fiat currency এর দায়িত্ব সরকার নেয়, এখানে কে নিচ্ছে) সাথে আমরা আরো কিছু বোনাস সুবিধা পাচ্ছি যেটা fiat currency তে নেইঃ

- এটা কোন নির্দিষ্ট অথোরিটি নেই, সবাই অথোরিটি, কাজেই অথোরিটি পালিয়ে যাওয়ার প্রব্লেম সলভড, ১০০% ট্রাস্টেড হয়ে গেলো যা ইতিহাসে প্রথমবার। এজন্য এটাকে বলে decentralized, পিছন থেকে কেউ কলকাঠি নেড়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তাই মানুষের আস্থা এতে বাড়ছে এবং পপুলার হচ্ছে।


- fiat currency তে সরকার চাইলে ইচ্ছামত টাকা ছাপাতে পারে, তখন টাকার দাম কমে যায়, inflation হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এই প্রব্লেমটা আর থাকছে না।


- যেহেতু কোন ব্যাংক প্রয়োজন হচ্ছে না, তাই transaction fee খুবই কম, বাইনান্সে 0.1% এবং ডিসকাউন্ট সহ 0.065% বা আরো নিচে নামা সম্ভব। ক্রেডিট কার্ডে ব্যাংক যেভাবে প্রচুর মেইনটেনেন্স ফি কাটে, তার একটা সল্যুশন এই ক্রিপ্টোকারেন্সি।


এই যে এতগুলো প্রব্লেম ব্লকচেইন সলভ করলো, সাথে আরো অনেক প্রব্লেম ব্লকচেইন সলভ করেছে যা এখানে বলা বলা হয় নি, টানলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে - এজন্যই এটা একটা দুর্দান্ত বিপ্লব।


মার্কেট ক্র্যাশের সময় কি কয়েন বিক্রি করতে সমস্যা হয়? ধরা যাক আমার ১০০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বিটকয়েন আছে বাইনান্স/ কয়েনবেজের ওয়ালেটে। মার্কেট যখন ক্র্যাশ করা শুরু করবে, আমি সব বেচে দিতে চাই। এমন কি হতে পারে যে buyer এর অভাবে আমি আমার সব বিটকয়েন সেল করতে পারলাম না? (কারণ কেউই ক্র্যাশের মুহূর্তে কিনতে রাজি হবে না)

Answer: মার্কেট তখনই crash করা শুরু করবে যখন মানুষ প্রচুর sell করতে থাকবে। মানুষ sell করতেছে মানে buyer আছে। buyer না থাকলে তো আর sell করতে পারবে না।


অর্থাৎ আমি buyer এর অভাবে sell করতে না পারি, এর মানে অন্যরাও sell করতে পারতেছে না। আর মেজরিটি মানুষ sell করতে না পারলে মার্কেট আর ক্র্যাশ করবে না। আর জিনিসটা এত লিনিয়ার না। এখানে gas fee এর ব্যাপার আছে, ট্রাফিক বেশি হলে গ্যাস ফি বেড়ে যায়, তখন মানুষ ট্রেডিং আগ্রহী থাকে না, because not worth it. আর ট্রেডিংগুলোও সবসময় স্ট্রেট স্বাভাবিক বাই সেল হয় না, মার্জিন ট্রেডিং, ফিউচার ট্রেডিং ইত্যাদি থাকে। আর এই জিনিসগুলো মার্কেটপ্লেস (binance, coinbase) হ্যান্ডেল করে থাকে।


Popular Posts